শীত আসলেই শুরু হয় ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যা। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই ত্বকে ব্যবহার করেন লোশন নয়তো অলিভ ওয়েল। কিন্তু বাজারে পাওয়া সব অলিভ ওয়েল কিন্তু এক মানের নয়। তাই জেনে নিন বিভিন্ন রকম অলিভ ওয়েলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের অলিভ ওয়েল সম্পর্কে।গুণগত মানের দিক থেকে অলিভ ওয়েল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ধরুন-
১। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল: জলপাই থেকে প্রথম যে তেল বের করা হয় সেটিই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল। এ তেলে কখনই বাড়তি গন্ধ ও স্বাদ ব্যবহার করা হয় না। এ তেলে অ্যাসিডের মাত্রা থাকে মাত্র ০.৮ শতাংশ। এ তেলের রং হয় হালকা সবুজ।
২। ভার্জিন অলিভ ওয়েল: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েলের সব গুণাগুণই এ তেলে থাকে। তবে এখানে অ্যাসিডের মাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। এ তেলের রং হয় হালকা হলুদ।
৩। রিফাইন্ড অলিভ ওয়েল: রিফাইন করার কারণে এ তেল অন্য সব অলিভ ওয়েল থেকে কম আঠালো হয়ে থাকে। অনেক সময় এ তেলের সঙ্গে ভার্জিন অলিভ ওয়েলও মেশানো হয়। বাকি সব গুণাগুণ অক্ষুণ্ন থাকলেও এ তেলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ কম থাকে। এ তেলের রং হয় গাঢ় হলুদ।
৪। আনফিল্টার্ড অলিভ ওয়েল: এ তেলে কোনো প্রকার রিফাইন বা পরিশোধন করা হয় না। তাই তেলের সঙ্গে পাওয়া যায় জলপাইয়ের অংশও। এ তেলের সমস্যা হলো জলপাইয়ের অংশ থাকায় দীর্ঘসময় ধরে এ তেল ব্যবহার করা যায় না। বোতলের নিচের অংশে তেল জমে গাদ হয়ে যায়। এ তেল দেখতে ঘোলা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভূমধ্যসাগরীয় সভ্যতা যেমন রোমান এবং গ্রিকদের মাধ্যমে প্রথম অলিভ ওয়েল ব্যবহার শুরু হয়। সেই থেকে আজ অবদি মানুষ ব্যবহার করে চলেছে অলিভ ওয়েল। আর এসব বিভিন্ন অলিভ ওয়েলের গুণাগুণ পরীক্ষা করে সবথেকে সেরা অলিভ ওয়েল হিসেবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েলকেই সেরা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।